গরমে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে। Skin care tips for summer in Bengali

Skin care

গরমে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে। Skin care tips for summer in Bengali

গরমে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গ্রীষ্মের মরসুম মানে শক্তিশালী রোদ, ঘাম এবং ধূলিকণাযুক্ত মাটি। এই মরসুমে ত্বক কেবল রোদে পোড়া ও ট্যানিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ নয়, ভাইরাল সংক্রমণ ত্বকেও অনেক রোগ এনে দেয়। ঘামের কারণে ত্বকে র‌্যাশ হওয়া সাধারণ।

গরমে অ্যালার্জির কারণে ত্বকে জ্বলনের পাশাপাশি লাল ফুসকুড়ি ও ফুসকুড়িও বেড়ে যায়। শুধু এটিই নয়, গ্রীষ্মে ত্বক সুরক্ষার জন্য যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে ত্বক ঝলসে উঠবে, মুখটি বর্ণহীন হয়ে যাবে এবং মুখের উপর ঝাঁকুনি এবং কুঁচকে থাকতে পারে।

আপনি জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে সমস্ত ত্বক যে শীতে সমস্ত শীতে ঝলমল করে রাখে, গ্রীষ্মে কেন তার ঝলকানি হারায়, কেন এটি আরও তৈলাক্ত হয়। এটি ঘটে কারণ শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল যা তেল গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রীষ্মে তেলের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। ত্বকে থাকা 90% ফ্রিকলগুলি সূর্যের আলো এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির কারণে হয়।

গ্রীষ্মে ত্বকের সমস্যা- 

  • ঘামাচি
  • পিগমেন্টেশন
  • ছত্রাক
  • ব্ল্যাকহেডস মানে চোখের নীচে কালো দাগ
  • পিম্পল
  • ব্রণ
  • ত্বকের অ্যালার্জি
  • রোদে পোড়া
  • ফেস ফ্রিকলস
  • চামড়া লাল লাল ফুসকুড়ি

ষ্ত্কের যত্নের শীর্ষ  টিপস –

1. রৌদ্রের রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করুন

দিন 11 টা থেকে 4 টা পর্যন্ত বাড়ির ভিতরে থাকুন। এই সময় সূর্যের রশ্মি খুব ক্ষতিকারক। এই সময় সূর্যের সংস্পর্শে ত্বকে রোদে পোড়া বা সানটান হতে পারে। বাইরে বেরোনোর ​​প্রয়োজন হলে ত্বকে সানস্ক্রিন  ক্রিম বা লোশন লাগান।

২.দেহ এবং ত্বক উভয়কেই আর্দ্র রাখুন

গ্রীষ্মে অতিরিক্ত ঘামের কারণে আপনার ত্বক শরীরের সাথে সাথে জলশূন্য হয়ে যায়। ফলস্বরূপ ত্বক তার আর্দ্রতা হারাতে থাকে। গ্রীষ্মে ত্বককে ময়শ্চারাইজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রচুর জল পান করুন। সারা দিন কমপক্ষে 10 গ্লাস জল পান করুন। লসি, দই, লেবু জল খেলে শরীর এবং ত্বক দু’টোই আর্দ্রতা পাবে।

৩. একটি জল ভিত্তিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন

ময়শ্চারাইজারগুলির বেশিরভাগই তেল ভিত্তিক যা গ্রীষ্মে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। জল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভাল। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

৪. গোলাপ জল টোনার ব্যবহার করুন

ত্বক ও মুখে গোলাপ জল লাগান। গোলাপ জল একটি প্রাকৃতিক টোনার। এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে তেলের স্রাব হ্রাস করে এবং ত্বককেও শীতল রাখে।

৫. কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন

গ্রীষ্মে, আমরা আমাদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য সাধারণত ঠান্ডা অর্থাৎ বায়ুযুক্ত পানীয় পান করি। এই জাতীয় পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। পরিবর্তে আমাদের ফলের রস, লেবু, লসি, নারকেল জল বা কাঁচা আমের পান্না ইত্যাদি পান করা উচিত এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয়।

৬. বারবার মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া

গরমকালে কম-বেশি সকলের ঘাম হয়। তাই বারবার মুখে জলের ঝাপটা দিন। এতে ত্বকে ঘাম বসবে না। সেই সঙ্গে ফ্রেশ লাগবে।

৭. ভাজা খাবার এবং ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন

গ্রীষ্মে খুব বেশি ভাজা রোস্ট এবং ভারী খাবার খাবেন না। এই মরসুমে বেশি ফল এবং সালাদ খান। এটি শরীরে শক্তি এবং আর্দ্রতা দেবে এবং ত্বকও সতেজ থাকবে। চা বা কফির মতো ক্যাফিনের উচ্চ কিছু এড়িয়ে চলুন। এটি ত্বকের ক্ষতি করে।

৮. শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন

গ্রীষ্মে, শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশগুলিতে ঘাম এবং আর্দ্রতা আটকে থাকার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এই অংশগুলি সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। এখানেই বেশিরভাগ জীবাণু বৃদ্ধি পায়। এই অংশগুলি থেকে ঘামের গন্ধও আসতে শুরু করে।

৯. স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ভাল ঘুম

শরীরের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ভাল ঘুমও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। ঝলমলে ত্বকের জন্য আপনার ডায়েটেরও পুরো যত্ন নেওয়া উচিত। আরও বেশি করে জল পান করা ভাল এবং খাবারে সালাদ এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করা ভাল।

মন্তব্য করুন