যৌনমিলন বা সহবাস ব্যাপারটি এখন স্বাভাবিক বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। সবার মধ্যে এ নিয়ে আরো বেশি জানতে আগ্রহ এবং কৌতুহল দেখা যাচ্ছে। যেটা কয়েক বছর আগে খুবই লজ্জাকর এবং মানসম্মানের ব্যাপার ছিল আজকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আজকে আমরা আলোচনা করবো সহবাস বা সেক্সে রাজি করার উপায় গুলি সম্পর্কে।

আরো পড়ুন – যৌনক্ষমতা বাড়ানোর আয়ুর্বেদিক ওষুধ ।Ayurvedic medicine for sex

নারী পুরুষ যৌনমিলন বা সেক্স নিয়ে সর্বদা কৌতহল হয়ে থাকে। কেউ মুখ ফুটে বলতে পারে, কেউ বলতে পারে না। নারীদের কাছে এটি খুবই লজ্জাকর হয়ে থাকে তাই তারা এবিষয়ে চুপ থাকে। ছেলেদের কে তাই আগ বাড়িয়ে ব্যাপার টি সামাল দিতে হয় । তার আগে অবশ্যই মেয়েদের সেক্সে রাজি করার উপায় গুলি মনস্থ করার প্রয়োজন।

মেয়েদের সেক্সে রাজি করার উপায়

যৌনতার জন্য কাউকে প্ররোচিত করা বা প্রলুব্ধ করা মানে কারো প্রয়োজনের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া। আপনি যদি কোনও মেয়েকে প্রলুব্ধ করতে চান, তাকে জানার জন্য সময় ব্যয় করুন, সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন এবং শারীরিকভাবে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।

জানুন মেয়েদের সেক্সে রাজি করার উপায় গুলি।

• ধীরে ধীরে এগিয়ে যান

প্রলোভন সম্পূর্ণ সঠিক সময় বা সময় বেছে নেওয়ার উপর নির্ভর করে। প্রত্যাশা একজন ব্যক্তির মধ্যে অন্যের জন্য আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। যখন আপনি আপনার আগ্রহী একটি মেয়ের সাথে দেখা করেন, ধীরে ধীরে যান। তার সাথে কথা বলার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং শুরুতে আপনার কথা বলার চেয়ে বেশি শুনুন। আপনার উদ্দেশ্য প্রকাশ করবেন না কারণ এটি খারাপ হতে পারে। অন্তত শুরুতে, সেক্সের চিন্তা করবেন না।

• সুন্দর এবং মানানসই কাপড় পরুন

যদি একটি মেয়ে আপনাকে দেখে আকৃষ্ট করাতে চান, তাহলে আপনাকে খুব ভাল পোশাক পরতে হবে। পারলে কিছু সুগন্ধি ব্যবহার করুন এতে ভালো ইমপ্যাক্ট পড়ে। যদি কোনো বার, পার্টি, বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে কারো সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাহলে প্রস্তুত হওয়ার জন্য বিশেষ যত্ন নিন।

• পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে আপনি যেকোনো মেয়ের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন। তাই চুল, দাঁত, নখ, জামাকাপড় ভালোকরে পরিষ্কার রাখবেন। আপনি একটু কলোন ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ব্যবহার করবেন না, তবে উচ্চ ফুলের গন্ধের কয়েক ফোঁটা সাহায্য করবে।

• আগ্রহী হয়ে উঠুন

তার কথা শুনুন আপনি যখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলবেন, তখন তার কথা শোনার চেষ্টা করুন। যদি মানুষ মনে করে যে আপনি তাদের প্রতি আগ্রহী, তারা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আপনার নিজের অর্জনগুলি নিয়ে আলোচনা করার এবং আপনার সমস্ত গল্প বলার পরিবর্তে, অন্য ব্যক্তির কথা শোনার চেষ্টা করুন।

•  মনের মানুষ হয়ে উঠুন

মেয়েদের কাছে সেক্স শুধুই দেহের মিলন নয় এর চেয়ে অনেক কিছু। তাই শুধু সেক্স নয় , তার মনে জায়গা করা জরুরি। মেয়েটির ভালোলাগা জিনিস গুলি আগে জেনে নিন এবং সেই মত তার কাছে হয়ে উঠুন , মানে মনের মানুষ হয়ে উঠুন।

• স্পর্শ শুরু করুন:

কিছুদিন কথা বলার পর ধীরে ধীরে স্পর্শ শুরু করুন। আপনি তার পাশে বসে এবং তার হাঁটু বা কাঁধে আপনার হাত রেখে এটি করেন। প্রলোভন সম্পূর্ণরূপে গতি উপর নির্ভর করে। এটা খুব তাড়াতাড়ি করলে কাজ নষ্ট হতে পারে। যদি অসস্তি বোধ করে তাহলে সেদিন বাদ দিন।

• যৌন উত্তেজক কথা

মেয়েটির পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠার পর ধীরে ধীরে রাতে দুষ্টুমিভরা কথা বাড়িয়ে দিন । যৌন উত্তেজক কথাবার্তা শুরু করে তার মনে কামইচ্ছা জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার সঙ্গীও উত্তেজিত হয়ে উটেছে।

• প্রথম চুম্বন

মেয়েটির সঙ্গে ঘনিষ্টতা বেড়ে গেলে চুম্বন করার চেষ্টা করুন।  কিভাবে সে তোমাকে চুমু খেয়েছে? এটি সে কী উপভোগ করে তার একটি ধারণা দেবে। প্রথম চুম্বন

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে কারও সাথে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছেন তবে অপ্রত্যাশিত জায়গায় শুরু করার চেষ্টা করুন। দীর্ঘ সম্পর্কের লোকেরা রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যায়, যা বিরক্তিকর হতে পারে। রান্নাঘরে বা ঝরনায় আপনার স্ত্রী বা বান্ধবীর সাথে চুম্বন করার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন – সেক্সে রসুনের উপকারিতা। Garlic Sex Power Booster Food

মেয়েদের সেক্সে উত্তেজিত করার উপায়

মেয়েদের উত্তেজিত না করে সেক্স করাটা বেশি সফল হয় না । তাই মনে রাখবেন সেক্সের আগে অবশ্যই আপনার সঙ্গীকে উত্তেজিত করে তোলা। মেয়েদের উত্তেজিত করার টিপস গুলি নিচে আলোচনা করা হলো।

বেশিরভাগ নারী সরাসরি যৌনমিলনে না গিয়ে সিঙারে তৃপ্তি পায়। তাই ফোরপ্লেতে সময় দিন।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর শরীরে এমন পাঁচটি স্থান রয়েছে যেখান থেকে সে স্পষ্টভাবে জাগ্রত হয়। নারীকে জাগিয়ে তোলা যায়?

• ঠোঁট

চুম্বনের সময়, ঠোঁটের দিকে মনোযোগ দিন। ঠোঁট চাটা, চুষার চেষ্টা করুন।
পেট, পিঠের নিচের অংশ এবং ভেতরের উরুও স্পর্শে সংবেদনশীল। অনেক নারী এখানে স্পর্শ পেয়ে যৌন আনন্দ পান।

• নাভি

আপনার সঙ্গীর নাভি একটি স্পর্শকাতর অংশ হতে পারে যা সঠিকভাবে স্পর্শ এবং স্ট্রোক করলে উত্তেজিত বোধ করতে পারে। এই ধরনের একটি গবেষণায়, মাত্র 4% মহিলা এই জায়গা দ্বারা উত্তেজিত ছিল, কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার সঙ্গীও সেই 4% মহিলাদের মধ্যে থাকা উচিত?

• ঘাড়

এই গবেষণায়, প্রায় 28% সুস্থ মহিলারা স্বীকার করেছেন যে তারা ঘাড়ে চুমু খেলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে মিলনের জন্য।

• স্তন

স্তন হলো মেয়েদের উত্তেজিত করার প্রধান সংবেদনশীল এলাকা। স্তন টিপা, চুষা এবং মর্দন করলে খুব তাড়াতাড়ি উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

• ভগাঙ্কুর

মিলনের পূর্বে নারীর ভগাঙ্কুর মর্দন তার কাম উত্তেজনা বাড়ায়। আপনার সঙ্গীকে উত্তেজিত করতে পুরুষ তার অঙ্গুলি দিয়ে নারীর যোনীর কিছুটা উপরে ছোলা দানার মত জায়গায় কম্পন সৃষ্টি করলে নারীর কাম উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তখন নারী যৌনমিলনে লিপ্ত হয়।

সতর্কতা

1. সহবাসের ফলে সবচেয়ে বড়ো ঝুঁকি হল গর্ভধারণ করা। সেজন্য পুরুষের উচিত কন্ডোম ব্যবহার করে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে নারীকে মুক্ত রাখা।
2. যদি আপনার সঙ্গীর ইচ্ছা না থাকে তবে জোর করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব খারাপ হতে পারে।

আরো পড়ুন – যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার । কি খেলে সেক্স বাড়ে

পরনারীকে সেক্সে রাজি করার বিভিন্ন উপায়

যে নারী তরুণী বা অবিবাহিতা, তাদের পেতে হলে ব্যক্তিগত চেষ্টায় এবং আত্নীয়স্বজনের চেষ্টায় পেতে পারে। কিন্তু যারা বিবাহিতা সে সব নারীকে পেতে হলে, কামদূতী বা ধাত্রী কন্যা পাঠিয়ে তাকে দিয়ে নানা গুণের কথা বলে, তার মন ভিজিয়ে তাকে পেতে হয়।

অবশ্য এর জন্যে প্রথম পরিচয়ের দরকার। পরিচয় করার জন্যে অভিলাষিতা নারীর পরিচিতা ধাত্রী কন্যা বা উপযুক্ত কোন ঘটকীয় প্রয়োজন হয়।

যখন কোন রকমে পরিচয় ঘটবে, তখন মাঝে মাঝে তার কাছে ঘোরাফেরা করা একান্তভাবে প্রয়োজন।
সে যে যে পথ দিয়ে যায়, সেই পথে ঘোরাফেরা করা প্রয়োজন। একা পেলে কথাবার্তা বলা উচিত। তার যে সব সখী বা বান্ধবী আছে তাদের সঙ্গে গল্প করা প্রয়োজন।
সখীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে উক্ত নারীর সঙ্গে গল্প করাও সুরু হয়ে যেতে পারে।
সেই সময় এই নারীর সখীদের বা ঐ নারীকে কিছু বিলাস দ্রব্য উপাহার দেওয়া উচিত। এইভাবে ক্রমশঃ তার সঙ্গে আত্নীয়তা শুরু হয়ে যাবে।

যদি বিবাহিতা তরুণী হয় তবে তাহার কোনও ভাইকে খুড়তুতো, জ্যেঠতুতো বা মামাতো ভাইদের সঙ্গে কিছু ভাব করা দরকার।
যদি সেই পরনারীর কোন ছোট শিশু থাকে, তখন তাকে কোল থেকে তুলে নিয়ে নিজের কোলে দুলিয়ে আদর করলে ভাল হয়। এতে অনেক ঘনিষ্ঠতা আসে।

• পরনারীর সহিত ঘনিষ্ঠতা

ক্রমে ক্রমে সামান্য ঘনিষ্ঠতার পর কথা বলার সুযোগ আসে। তখন সেই নারীর পাশে এসে নানা সাধারণ বা সামাজিক কথা বলবে। যখন দেখবে গল্প করতে তার কোন আপত্তি নেই, তখন ক্রমশঃ রসের গল্প অবতারণা করবে। যেমন অমুক লোক তার কন্যাকে ্লেহবশতঃ চুমু খেলো। তারপর, তার স্ত্রীর গালে মুখে চুমু খেলো। চুমু খেতে বেশ লাগে-এই সব বলে তরুণীর মন রসসিক্ত করবে।
প্রায়ই প্রত্যহই সুযোগ মত নিভৃতে বসে তরুণীর সঙ্গে এই সব কথা বলবে। বলতে বলতে মাঝে মাঝে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তরুণীর অঙ্গ স্পর্শ করবে।
যখন তরুণী বিশেষ আপত্তি করবে না তখন তার একটু উপরে উঠবে।

ক্রমশঃ ক্রমশঃ তার কাছে প্রেমের কথা জানাবে। অবশ্য যদি এর আগে অঙ্গ স্পর্শে বাধা ন দেয় তবেই তা করবে।
বসন নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও যদি সে ঐ পুরুষের কাছে লজ্জাবোধ না করে, তা হলে জানবে তার মনে কিছু কামভাব জাগ্রত হয়েছে।

হঠাৎ যদি একদিন ঐ পুরুষ এই নারীর গাল টিপে ধরে তাতে নারী লজ্জিত হয় বটে, আপত্তিও একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু করে, কিন্তু তা পাঁচ জনকে জানাতে চায় না। তখন জানবে নারী প্রেমের পথে একটু এগিয়ে গেছে।

যখন অধিকাংশ সময় ঐ নারী পুরুষটির সঙ্গে একত্রে নির্জনে থাকতে চাইবে-সরস গর্‌প গুনতে সে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
তারপর ক্রমশঃ ঐ নারীর সঙ্গে যৌন কথা বলা সম্ভব হ’তে পারে।

• পরনারীর সহিত যৌন সম্পর্ক

যৌন ভাব প্রকাশ করতে হলে পুরুষকে খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।
প্রথমে নারীকে দু-একটা বিদেশী বই, নানা গল্পের বই এবং সবার শেষে কোন যৌন বিষয়ক বউ উপহার দেবে।
তারপর থেকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি ও বই থেকে কি পাঠ গ্রহণ করলে? তরুণী ধীরে ধীরে হয়ত উত্তর দেবে। তখন তাকে বিসতৃতভাবে কাম বিষয়ক গ্রন্থের বিষয়ে বর্ণনা করে বুঝিয়ে দিতে হবে।

ক্রমশঃ সেগুলি গা সহ্য হলে বলবে-আচ্ছা ধর আমি যদি তোমাকে জড়িয়ে ধরি ত কেমন লাগতে পারে?
ধীরে ধীরে তরুণী নিরুত্তর থাকলে গালে গাল ঘষবে, হাতে হাত ঘষবে, ধীরে ধীরে তার অনুমতি নিয়ে দেহ মর্দন করবে।

যে যখন বলবে, বেশ লাগছে।
তখন তার অনুমতি নিয়ে তার হাত পা জোর মর্দন করবে। দেখবে সে চুপ করে তা উপভোগ করছে।
তারপর তাকে সজোরে আলিঙ্গন করবে-খুব জোরে তা হবে। তারপরই আসবে চুম্বন। তাতেও যদি সে বাধা না দেয়, তখন তার সারা দেহ মর্দন চলবে, তার কামকেন্দ্র জোরে জোরে মর্দন করবে। স্তন নিপীড়ন যৌন কেন্দ্র বা যোনিতে হাত প্রয়োগ করবে।

তখন নিশ্চয়ই নারী পুরুষের পুরুষাঙ্গে হাত দেবে বা চাপ দেবে। এতে বুঝতে হবে সে নিশ্চয়ই কামার্তা হয়ে উঠেছে।
তখন পুরুষ নারীকে চিৎ করে শুইয়ে তার বুকের উপর উঠে শৃঙ্গার করবে। প্রথমে অন্য কোন আসন গ্রহণ করা উচিত নয়।
এই আসন বেশ ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘক্ষণ করতে থাকবে।
এই আসন হলে পরে ধীরে ধীরে অন্য আসনও করা চলবে।

আরো পড়ুন- শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়। Increase Sperm Count Naturaly

তথ্যসূত্র: WikiHow  हिन्दी