প্রাকিতিক উপায়ে কমিয়ে ফেলুন কোলেস্টরল। Reduce cholesterol naturally
রক্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কোলেস্টেরল। রক্তে উপস্থিত ৭৫ শতাংশ কোলেস্টেরল স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেহে এমনিই উত্পাদন হয়। কিন্তু বাকি ২৫ শতাংশ কোলেস্টেরল আসে বিভিন্ন প্রাণীজ খাবার থেকে। এখন এই কোলেস্টেরল ভালো না খারাপ? রক্তে উপস্থিত এই কোলেস্টেরল দুধরনের, LDL (লো ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল) ও HDL (হাই ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল)। এরমধ্যে HDL-কে বলা হয় ‘গুড কোলেস্টেরল’ আর LDL-কে বলা হয় ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’।
এখন এই গুড ও ব্যাড কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব ঘটলেই শরীরে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়। হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কিছু খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা। লাইফস্টাইলেও কিছু পরিবর্তন আনা।
যে খাবার গুলি খাবেন
ওট খান:
যে সমস্ত খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি সেই সমস্ত খাবার খান। সকালে ব্রেকফাস্টে ওট খেতেই পারেন। এতে থাকা ফাইবার আপনার কোলেস্টরল স্বাভাবিক রাখে। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল আধিক্য কমিয়ে ভালো কোলেস্টরল পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ওটের সঙ্গে কলা খেতে পারেন। কলা কোলেস্টরল জন্য খুবই উপকারী।
মাছ এবং Omega 3 ফ্যাটি অ্যাসিড:
ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড একটি ভালো উৎস হল মাছ। ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক এর হাত থেকে রক্ষা করে, এছাড়া এটি রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।
আখরোট এবং আমন্ড খান:
আখরোট এবং আমন্ড কোলেস্টেরলের পক্ষে খুবই উপকারী এগুলি খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, এতে ফ্যাটি এসিড থাকে এছাড়া পিনাট পাইন আট ইত্যাদিও কোলেস্টেরলের পক্ষে খুবই কার্যকরী।
অলিভ অয়েল:
রান্নায় ব্যবহৃত তেলের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টকে সুস্থ রাখে এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা কোলেস্টেরলের জন্য খুব ভালো।
শাকসবজি ও ফলমূল:
সবুজ শাকসবজি শরীরের পক্ষে খুবই স্বাস্থ্যকর। বিশেষত যেসব সবজিতে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিনের রয়েছে সেগুলি বেশি করে খেতে হবে। যেমন কমলালেবু, আগর, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল। এছাড়া বাঁধাকপি ব্রোকলিও ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস। কুমড়ো কাঠবাদাম গাজর ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন।
মেথি:
মেথি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত এক চমৎকারী ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবার। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি ও তারুণ্য ধরে রাখার বিস্ময়কর এক ক্ষমতা। যারা নিয়মিত মেথি খান তাদের বয়সের গতিটা অত্যন্ত ধীর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা একগ্লাস জলে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করলে শরীরে রোগ জীবাণু মরে। বিশেষত কৃমি মরে। রক্তের চিনির মাত্রা ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কম করে। ডায়াবেটিস রোগী থেকে হৃদরোগী সেবন করলে উপকৃত হবেন।
শারীরিক পরিশ্রম:
শরীর ভালো রাখতে এক্সারসাইজের বিকল্প নেই, আর তা শুরু করার সময় কখনো ফুরিয়ে যায় না। সব বয়সের মানুষের জন্যই শারীরিক পরিশ্রমের উপায় আছে। শারীরিক পরিশ্রম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখবে দীর্ঘদিন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সময় নিয়ে শুধুমাত্র হাঁটাহাঁটি আর স্ট্রেচিং এর মাধ্যমেও শরীরের নানান জটিলতা থেকে দূরে রাখা যায়।
এই খাবার গুলি খাবেন না
রেড মিড
দুগ্ধজাত দ্রব্য
প্রসেসড মিট
স্যাচুরেটেড তেল যেমন নারকেল ও তাল তেল
ভাজা খাবার
ধূমপান ও মদ্যপান